ব্রেক্সিটের পরে ইউরোপের বাজারে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে যুক্তরাজ্য। এ ছাড়া করোনা মহামারি বৈশ্বিক যে সংকট সৃষ্টি করেছে তারও একটি সুস্পষ্ট প্রভাব পড়েছে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে।

ইউরোপে বাজার হারাচ্ছে যুক্তরাজ্য

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে গত এক বছরে যুক্তরাজ্যের রফতানি কমেছে ২০ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ২ হাজার কোটি পাউন্ড।
 

যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয় (ওএনএস) থেকে জানা যায়, যদিও ২০২১ সালের প্রবৃদ্ধি বিগত সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে, তবে প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধিতে ইউরোপের বাজারের অবদান ছিল সীমিত।
 
ব্রেক্সিটের আগে এবং পরের হিসাব থেকে দেখা যায়, ব্রেক্সিটের এক বছর আগের তুলনায়, গত বছর রফতানি কমেছে ১২ শতাংশ।
 
ব্রেক্সিটের ফলে কেবল ইইউভুক্ত দেশ নয়, বরং ইইউর বাইরেও ২০২১ সালে যুক্তরাজ্যের রফতানি কমেছে। ইউরোপের দেশগুলোর বাইরেও যুক্তরাজ্যের রফতানি কমেছে ১০ বিলিয়ন অর্থাৎ ১ হাজার কোটি টাকা।
 
ওএনএসের তথ্যমতে, ২০১৮ সালের তুলনায় গত বছর ইইউতে যুক্তরাজ্যের পোশাক ও জুতা রফতানি প্রায় ৬০ শতাংশ কম হয়েছে। এ ছাড়া খাদ্য ও জীবন্ত পশু রফতানি ১৮ শতাংশ, সবজি রফতানি প্রায় ৪০ শতাংশ এবং গাড়ি রফতানি ২৫ শতাংশ কমেছে।
 
অন্যদিকে পণ্য আমদানিতে ইউউর ওপর নির্ভরতা কমাতে শুরু করেছে যুক্তরাজ্য। ২০১৮ সালের তুলনায় আমদানি কমেছে ১৭ শতাংশ বা প্রায় ৪৫ বিলিয়ন (সাড়ে ৪ হাজার কোটি) পাউন্ড কমেছে।
 
বরং ইইউর তুলনায় বিশ্বের অন্য দেশ থেকে পণ্য আমদানিতে এখন বেশি ব্যয় করছে দেশটি। বিশ্বের বাকি অংশ থেকে আমদানি প্রায় ১৩ শতাংশ বা প্রায় ২৮ বিলিয়ন পাউন্ড বেড়েছে।
 
যদিও উভয়দিক থেকেই কমেছে আমদানি-রফতানি, তবে এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের সব থেকে বড় অংশীদার ইইউ।

Post a Comment