তীব্র শীত আসার আগেই আয়ারল্যান্ডে করোনায় সংক্রমণ বাড়ছে দ্রুত গতিতে। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুহার। আইসিইউতে রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ।

করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হয়ে গেছে আয়ারল্যান্ডে। গেল এক বছরের আক্রান্তের রেকর্ড ভেঙে এখন প্রতিদিনই গড়ছে নতুন নতুন রেকর্ড। কয়েক মাস আগেও দেশটির করোনা পরিস্থিতি ছিল নিয়ন্ত্রণে। খুলে দেওয়া হয়েছিল রেস্টুরেন্ট, পানশালাগুলো।
তবে সংক্রমণ ফের বেড়ে যাওয়ায় এখন থেকে রাত ১২টার মধ্যেই এগুলো বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন। আগামী দিনে আসতে পারে আরও কঠোর বিধিনিষেধ। পূর্ণ লকডাউনে যাওয়ার শঙ্কাও রয়েছে।
আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যু হারও বাড়ছে সমানতালে, আইসিইউতেও করোনা রোগীর সংখ্যা গেল এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। গেল দু'সপ্তাহে প্রায় ৯০০ স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের জনসমাগম এড়িয়ে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে। সংক্রমণের হার অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় স্বস্তিতে নেই প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।
এখন থেকে পঞ্চাশ বছর বয়সীদের দেওয়া হবে বুস্টার ডোজ, আগে যা পেতেন কেবল ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা। দ্রুতই আরও কম বয়সীদেরও বুস্টার ডোজের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ।
Post a Comment