সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারে (২৯ অক্টোবর) বাজারে এসে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস অবস্থা। শুধু সবজি কিনেই পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে অনেকের। নিষেধাজ্ঞা শেষে সরবরাহ বাড়লেও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে ইলিশ।

আয়ের চেয়ে ব্যয়ের পরিমাণ বেশি। ঢাকা শহরে আর থাকার মতো ব্যবস্থা নেই বলে জানিয়েছেন বেসরকারি চাকরিজীবী সাদ্দাম হোসেন।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সাতসকালে বাজারে এসে একটা লাউ আর শিম কিনতেই পকেট ফাঁকা তার। হবেই বা না কেন? বাজারে এক কেজি শিমের দাম উঠেছে ২০০ টাকায়। কাঁচামরিচ কিনতে খরচ হচ্ছে ১৬০ টাকায়। স্বস্তি নেই শসা, বেগুন, পটোলসহ অন্য সবজির বাজারেও। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে।
বাজারে আসা ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেছেন, বাজারে কোনো প্রকার তদারকি নেই। বেতন ৬০ টাকা কিন্তু বেগুন ১০০ টাকা দিয়েই কিনতে হবে। কিছু করার নেই। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে বাজারে পণ্যের মূল্য বেশি। এত বৃদ্ধি পেলে তো আমাদের মতো মানুষের চলা অসম্ভব।
তবে বাজারে বরাবরের মতো এবারও সরবরাহ কমার অজুহাত দিচ্ছেন বিক্রেতারা। পাশাপাশি দায় চাপাচ্ছেন আড়তদারদের ওপর।
বিক্রেতারা বলছেন, এক আটি পালংশাক ১৭ টাকা দিয়ে কেনা। এর ওপর খরচের পর ধরেন ১৮ টাকা হয়। তাহলে ২৫ টাকা বিক্রি করতে হবে আমাদের, যেহেতু দোকান ভাড়া আছে। সেই হিসাব করেই পণ্য বিক্রি করতে হয় আমাদের। পাইকারি বাজারের ওপর ভিত্তি করে আমাদের বিক্রি করতে হয়। করলা আমাদের কেনা ৬০ টাকা কেজি। এটি আমরা ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করি বলে জানিয়েছেন আরেকজন বিক্রেতা।
এ দিকে নিষেধাজ্ঞা শেষে বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় কিছুটা কমেছে অন্যান্য দেশি মাছের দাম। ক্রেতারা জানিয়েছেন, মাঝারি আকারের মাছগুলো ৯০০ টাকা কেজি। দামও অনেক বেশি এবং আমরা ক্রেতারা তো কম দামে পাচ্ছি না।
গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি কেজিতে ২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে দেড় কেজি মাছ এনেছিলাম ৯০০ টাকা কেজি, আজ এনেছি ১১০০ টাকা কেজি বলে জানান একজন মাছ বিক্রেতা।
তবে হুট করে বাড়লেও চলতি সপ্তাহে কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগি বিক্রেতারা বলেছেন, গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা ছিল। এ সপ্তাহে ১৫০ টাকা। খাবারে দাম বেশি হওয়ায় ব্রয়লার দাম বেশি।
অন্যদিকে বাজারে অপরিবর্তিত আছে অন্যান্য মাংসের দাম। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা কেজি দরে এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে।
Post a Comment